কমিউনিটি পুলিশিং হচ্ছে জনগণের সাথে পুলিশের আস্থার এক সেতুবন্ধন : কাদের

Awamileague Times
By Awamileague Times ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৭ ১৫:০৫

কমিউনিটি পুলিশিং হচ্ছে জনগণের সাথে পুলিশের আস্থার এক সেতুবন্ধন : কাদের

নোয়াখালী : সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কমিউনিটি পুলিশিং হচ্ছে জনগণের সাথে পুলিশের আস্থার এক সেতুবন্ধন।জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে সমাজকে সচেতন ও মুক্ত রাখার জন্য কমিউনিটি পুলিশিংয়ের অবদান সবচেয়ে বেশি এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী আজ নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে “কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশ-২০১৭” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোঃ ইলিয়াছ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) এ.কে.এম শহীদুল হক।
ওবায়দুল কাদের কমিউনিটি পুলিশিংয়ের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘যে কোন ধরনের মাদক, জঙ্গিবাদ ও সমাজে অপরাধের মূল হোতাদের সম্পর্কে আপনারা পুলিশকে অবহিত করবেন।’এর পাশাপাশি জনগণকে সচেতন করে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত করার ব্যাপারেও তিনি আহবান জানান।

‘কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশ’ আয়োজনের সার্বিক সফলতায় সন্তোষ প্রকাশ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন,বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। আমাদের পুলিশ প্রধান এ.কে.এম শহীদুল হক বাংলাদেশে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছেন।

অন্যান্যের মধ্যে আয়েশা ফেরদৌস এমপি, মামুনুর রশিদ কিরণ, মোরশেদ আলম, এ.এইচ.এম ইব্রাহীম, নোয়াখালী জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ডা: এ.বি.এম জাফর উল্যা, জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ কাজী রফিক উল্যা ও সধারণ সম্পাদক এডভোকেট গোলাম আকবর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আলম সেলিম, সকল উপজেলা চেয়ারম্যান, সকল পৌরসভার মেয়র, সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, হলি আর্টিজানে জঙ্গী হামলা মোকাবেলা,কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানা গুড়িয়ে দেয়াসহ জঙ্গীবাদ র্নিমূলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অবদান ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে থাকবে।

তিনি বলেন, দুর্গম অঞ্চলের সাধারণ মানুষের শোষণ, বঞ্চনা ও হাহাকারের ঘটনা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পৌঁছানো সহজ হবে। এখনো বাংলাদেশের দুর্গম অঞ্চলগুলোতে বঞ্চনার শিকার হচ্ছে মানুষ। উন্নয়ন দিয়ে বঞ্চনা ঠেকানো যায় না উল্লেখ করে মন্ত্রী জনপ্রতিনিধের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যদি বিবেকের কাছে সচেতন না হন তাহলে পুলিশ একা সমাজের শান্তি আনতে পারবে না। সন্ত্রাসীরা আসে আধুনিক অস্ত্র নিয়ে। পুরাতন অস্ত্র দিয়ে পুলিশ কি করে তা মোকাবেলা করবে। তাই পুলিশের জন্য আধুনিক অস্ত্র দরকার। মাদক ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলা আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। মাদক গ্রাম ও জনপদকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। একটি প্রজন্ম এ ধ্বংসের শিকার। এটাকে যদি রক্ষা করা না যায় তাহলে ভবিষ্যতে প্রজন্ম শূন্যতা দেখা দিবে।’

ওবায়দুল কাদেব বলেন, দেশের বড় দ’ুটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ ও মাদক। প্রধানমন্ত্রী এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বলে তিনি জানান।আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বলেন, ‘সবাই মিলে আমাদেও শপথ নিতে হবে, এই অভিন্ন দুই শত্রুকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবেলা করার। কারণ জঙ্গিবাদ ও মাদক কারো বন্ধু হতে পারে না।’

এ.কে.এম শহীদুল হক বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়র মাধ্যমে জনগণের কথা পুলিশ জানতে পারবে। কমিউনিটি পুলিশিং হচ্ছে একটি দর্শন। যতদিন রাষ্ট্র আছে ততদিন কমিউনিটি পুলিশিং থাকবে। মানুষের মাঝে যেন অপরাধ প্রবনতা না জন্মায় কমিউনিটি পুলিশিং সে বিষয়ে সর্তকীকরণ করে। কমিউনিটি পুলিশিং অন্যতম সমাজ সহায়ক বলে তিনি মন্তব্র করেন।

Awamileague Times
By Awamileague Times ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৭ ১৫:০৫
01212016_11_ALBD_CONSTITUTION

  • Sorry. No data yet.
Ajax spinner