২৬ লাখ বেকারের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

Awamileague Times
By Awamileague Times এপ্রিল ৩০, ২০১৭ ১৩:১২

২৬ লাখ বেকারের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

ঢাকা : টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে দেশের ৫ কোটি ৬৭ লাখ শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি ২৬ লাখ বেকারের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক মে দিবসের প্রাক্কালে বাসসকে আরো বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ৮ নং লক্ষ্যমাত্রায় বলা হয়েছে ,সমন্বিত ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে, সবার জন্য সমন্বিত উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান এবং সম্মানজনক কাজ উন্নতকরণ করতে হবে। তাই অধিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করা হবে এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে কারিগরি প্রশিক্ষণ স্থাপন করা হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রম জরিপ অনুয়ায়ী দেশে বর্তমানে শ্রমশক্তির মধ্যে ৩ কোটি ৯৫ লাখ পুরুষ ও এক কোটি ৭২ লাখ নারী। এরমধ্যে অনানুষ্ঠানিক কাজে যুক্ত আছেন প্রায় চার কোটি ৭০ লাখ। প্রায় ৮৭ শতাংশ শ্রমশক্তি অনানুষ্ঠানিক কাজ করে থাকেন। বাকি ১৩ শতাংশ শ্রমশক্তি আনুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে কাজ করে থাকেন। দেশে বর্তমানে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখের কিছু বেশি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে পোশাক শিল্পে প্রায় ৪২ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করে। ২০০৯ সালে যেখানে শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ছিল মাত্র ১৬০০ টাকা সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে ২০১৩ সালে শ্রমিকদের বেতন ২২৩ ভাগ বৃদ্ধি করে ন্যুনতম ৫,৩০০ টাকা করা হয়েছে। শ্রমিকরা সরকারি চাকুরিজীবীদের মতো প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধিরও সুিবধা পাচ্ছেন। এছাড়া তাদের জন্য বিশেষ কল্যাণ তহবিল রয়েছে। শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ২০০ কোটি টাকার বেশি জমা হয়েছে। রপ্তানিমুখী পোশাক শ্রমিকদের জন্য আলাদা আরো বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে। শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে ট্রেড ইউনিয়ন করার অবাধ অধিকার আজ প্রতিষ্ঠিত। শ্রমিক স্বার্থে সরকার হাসপাতাল, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নিরাপদ কর্মক্ষেত্র তৈরি ইত্যাদি কাজ দেশি-বিদেশি সহায়তায় করে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের মেহনতের কারণেই আজ আমাদের দেশের অর্থনীতির এ উন্নতি হয়েছে। গতবছর আমাদের রপ্তানি ছিল ৩৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর ৮১ ভাগই এসেছে তৈরী পোশাক খাত থেকে।তিনি আরো বলেন, গত বছর জানুয়ারি ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি নারী কর্মী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করতে গেছেন। স্বাধীনতার পর এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। পুরুষের পাশাপাশি এই নারীরাও এখন গড়ছেন দেশের অর্থনীতি। চলতি বছর সবচেয়ে বেশি নারী কর্মী গেছেন সৌদি আরবে। এই সংখ্যা ৬২ হাজার ৯১৬। এ ছাড়া ২০ হাজার ৭৬৩ জন জর্ডানে, ওমান ১১ হাজার ৮৭৫, কাতার ৫ হাজার ৭৩, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৪ হাজার ৭৪৫ এবং লেবাননে ২ হাজার ৩১৬ জন নারী কর্মী গেছেন। এখন আর নারী কর্মীদের বিদেশে যেতে কোনো খরচ নেই। বিদেশের নিয়োগকর্তারাই তাঁদের খরচ দিয়ে দেন।

তিনি বলেন, এছাড়া সরকারিভাবে দেশের মোট জাতীয় উৎপাদনে বাংলাদেশে নারীদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রটি প্রসার হচ্ছে। এদেশের বিশাল নারী জনগোষ্ঠীকে বেকার রেখে দেশকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ নেই। তাই অর্থনৈতিক, সামাজিক অবস্থান পরিবর্তনের লক্ষ্যে নারীদের বিদেশে চাকরি সহজ করতে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে ১৬০ দেশে প্রায় ৯০ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করছেন। যেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী শ্রমিকও রয়েছেন। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯১ সাল থেকে বিদেশে নারীদের কর্মসংস্থান শুরু। ১৯৯১ সালে মাত্র ২ হাজার ১৮৯ জন নারী বিদেশে গিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে এ সংখ্যা প্রথমবারের মতো বছরে ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। আর ২০১৫ সালে ১ লাখ ৩ হাজার ৭১৮ জন কর্মী বিদেশ গেছেন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৭৫৬ জন নারী বিদেশে চাকরি নিয়ে গেছেন।

Awamileague Times
By Awamileague Times এপ্রিল ৩০, ২০১৭ ১৩:১২
01212016_11_ALBD_CONSTITUTION

  • Sorry. No data yet.
Ajax spinner