যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশিত গ্রন্হে বিশ্ব নেতাদের অন্যতম শেখ হাসিনাকে “প্রাণঢালা অভিনন্দন” জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ
Related Articles
বাংলা অক্ষর ও টনি নিউ ইর্য়কঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে–অতি সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডি.সি তে নারী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক’ প্রকাশিত একটি গ্রন্থে, লেখক বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষাবিদ রিচার্ড ও’ব্রাইয়েন, বিশ্বের ১৮ জন নারী জাতীয় নেতার তালিকায়– বিশেষভাবে মূল্যায়ন ও উপস্থাপন করায় এবং গ্রন্থটি’র প্রচ্ছদে বিশ্বের আরও ছয়জন শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অন্যতম বিশ্বনেতা জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি স্থান পাওয়ায়–জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র সুযোগ্য কন্যাকে আওয়ামী শাখা সংগঠন এবং প্রবাসী বাঙ্গালীদের পক্ষে-‘প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এবং গণপ্রজাতন্তী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বীরমুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রপ্ত সাধারন সম্পাদক আইরীন পাভীন ।
ওয়াশিংটন ডিসির ওমেন্স ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ক্লাবে (ডব্লিউএনডিসি) বিদেশী কূটনীতিক, নারী নেত্রী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গ্রন্থটি প্রকাশ করা হয়।লেখক গ্রন্থটিতে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একনিষ্ঠতা ও কঠোর পরিশ্রম, তাঁর জীবননাশের চেষ্টা এবং বাংলাদেশের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক অর্জন লিপিবদ্ধে ৩ পৃষ্ঠা উৎসর্গ করেন।ও’ব্রেইন বাংলাদেশকে অধিকতর স্থিতিশীল ও অধিকতর গণতান্ত্রিক এবং অপেক্ষাকৃত কম হিংসাত্মক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রয়াসের প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে লেখক শেখ হাসিনার এই উক্তি উদ্ধৃত করেন যে, ‘বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ও ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই আমি গর্বিত হব।’
গ্রন্থে প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক পটভূমির উল্লেখ করে বলা হয়, তাঁর পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আধুনিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনি দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। লেখক ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে উল্লেখ করেন যে, ওই সময়ে শেখ হাসিনা ও তার বোন (শেখ রেহেনা) দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান।ওব্রেইন ১৯৮১ সালে নির্বাসন থেকে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগকে পরিচালনার নেতৃত্বের পদে নির্বাচিত হয়ে তিনি নির্বাচনী কারচুপি ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। সে সময় তাঁকে দমন ও নির্যাতনের শিকার হতে হয় এবং ৮০’র দশকে তিনি গৃহবন্দী হন।
লেখক এরশাদ শাসনামলের উল্লেখ করে বলেন, সরকারের নির্যাতন সত্ত্বেও শেখ হাসিনা এতই প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় ছিলেন যে, তাঁর চাপে ১৯৯০ সালে একজন সামরিক জান্তাকে পদত্যাগ করতে হয়। লেখক বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার ১৯৯৭ সালে যুগান্তকারী পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, স্থলমাইনের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ ও ক্ষুদ্র ঋণ সম্মেলনে সভাপতিকে সহায়তা ও নারী কল্যাণ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ অনেক কর্মকা– বাস্তবায়ন করেছেন।রিচার্ড তার গ্রন্থে শান্তি ও গণতন্ত্রের বিকাশে শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উল্লেখ করে বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) মাদার তেরেসা পদক ও গান্ধী পদক অর্জন করেছেন।
বীরমুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ ও ড. সিদ্দিকুর রহমান তারা আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার এই অর্জন তাঁর সুকীর্তিরই প্রতিফলন। শেখ হাসিনা জাতির গর্ব ও ভালোবাসা। বিশ্বের অন্যতম এই নেতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে– তাঁর সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন, শ্রী অনিল দাশ গুপ্ত।
বিশ্বশাস্তির অগ্রদূত জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আরও অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি আকতার হোসেন, সৈয়দ বসরাত আলী,মাহাবুবুর রহমান,শামছুদ্দিন আজাদ,লুৎফর করিম,ডা.মো.আলী মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ,মহিউদ্দিন দেওয়ান,আব্দুল হাসীব মামুন, কৃষি সম্পাদক আশরাফুজ্জামান,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন রুমী,ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন,মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম,অর্থ সম্পাদক মো.আবুল মনসুর খান,মহিলা সম্পাদিকা শিরিন আক্তার দিবা,বন ও পরিবেশ সম্পাদিকা নূর আলম চৌধুরী,উপ–দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক,উপ–প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি,শিল্প ও বাণিজ্য ফরিদ আলম, শ্রম সম্পাদক মেজবা আহমেদ,প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক সোলেয়মান আলী,যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান টুকু,শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এম এ করিম জাহাঙ্গীর,সাংস্কৃতিক সম্পাদক শহীদ হাসান,ইমিগ্রেশন সম্পাদক আব্দুর রহমান মামুন ও প্রমূখ।