বাংলাদেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক অর্জন গ্রন্থের অভিনন্দন জানিয়ে যুক্তঃআওয়ামী লীগের সমাবেশ
Related Articles
তৈয়বুর রহমান টনি নিউ ইর্য়কঃ
উইমেন প্রেসিডেন্টস অ্যান্ড প্রাইম মিনিস্টার্স’ নামে যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত এক গ্রন্থের লেখক যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষাবিদ রিচার্ড ও ব্রেইন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের বর্তমান ১৮ জন নারী জাতীয় নেতাদের মধ্যে অন্যতম। নারী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শীর্ষক এই গ্রন্থের প্রচ্ছদে অপর ছয় জন বিশ্ব নেতার সঙ্গে শেখ হাসিনার ছবি মুদ্রিত হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসির ওমেন্স ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ক্লাবে বিদেশী কূটনীতিক, নারী নেত্রী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গ্রন্থটি প্রকাশ করা হয়।
গ্রন্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিস্মরণীয় নেতৃত্বের কথা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার সময় তাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। লেখক তার গ্রন্থে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকা র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একনিষ্ঠতা ও কঠোর পরিশ্রম, তার জীবননাশের চেষ্টা এবং বাংলাদেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক অর্জন গ্রন্থের তিন পৃষ্ঠা লিপিবদ্ধ করেন।
লেখক রিচার্ড ও ব্রেইন বাংলাদেশকে অধিকতর স্থিতিশীল ও অধিকতর গণতান্ত্রিক এবং অপেক্ষাকৃত কম হিংসাত্মক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রয়াসের প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে লেখক শেখ হাসিনার এই উক্তি উদ্ধৃত করেন যে, ‘বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ও ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই আমি গর্বিত হব। গ্রন্থে প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক পটভূমির উল্লেখ করে বলা হয়, তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আধুনিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনি দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
লেখক ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে উল্লেখ করেন যে, ওই সময়ে শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহেনা দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান।
গ্রন্থের লেখক রিচার্ড ও ব্রেইন ১৯৮১ সালে নির্বাসন থেকে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগকে পরিচালনার নেতৃত্বের পদে নির্বাচিত হয়ে তিনি নির্বাচনী কারচুপি ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। সে সময় তাঁকে দমন ও নির্যাতনের শিকার হতে হয় এবং ৮০ র দশকে তিনি গৃহবন্দী হন। লেখক এরশাদ শাসনামলের উল্লেখ করে বলেন, সরকারের নির্যাতন সত্ত্বেও শেখ হাসিনা এতই প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় ছিলেন যে, তার চাপে ১৯৯০ সালে একজন সামরিক জান্তাকে পদত্যাগ করতে হয়। লেখক বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা ও তার সরকার ১৯৯৭ সালে যুগান্তকারী পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, স্থলমাইনের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ ও ক্ষুদ্র ঋণ সম্মেলনে সভাপতিকে সহায়তা ও নারী কল্যাণ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ অনেক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছেন। রিচার্ড তার গ্রন্থে শান্তি ও গণতন্ত্রের বিকাশে শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উল্লেখ করে বলেন, তিনি মাদার তেরেসা পদক ও গান্ধী পদক অর্জন করেছেন।
শেখ হাসিনাকে বিশ্বের শ্রেষ্ট ছয়জন প্রভাবশালী নারীর মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করায় ‘জনসেবায় নিরলসভাবে কাজের দুর্লভ এ স্বীকৃতির’ জন্যে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাতে বিশেষ সমাবেশের আয়োজন করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। গত ৯ জুলাই রোববার নিউইযর্কে কুইন্স প্যালেস ৩৭–১১–৫৭ স্ট্রীট উডসাইড।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ এর পরিচলনায় আনন্দ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।
ইমাম কাজী কাইয়ুম কর্তৃক পবিত্র কোরআন থেকে পাঠের পর সকলে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ তার পরিবারের নিহত সকল সদস্যের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানার মধ্যে দিযে সমাবেশের শুরু হয, প্রধান অতিথি দীর্ঘ সময ধরে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রর শিক্ষাবিদ লেখকের বই নিয়ে তিনি একাডেমিক বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.আব্দুস সোবহান গোলাপ, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক, ও বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সহকারী ।
ড. আবদুস সোবহান গোলাপ তার বক্তব্যে বলেন আমেরিকান লেখক,শিক্ষানুরাগী “উইমেনস প্রেসিডেন্ট অব প্রাইমিনিস্টার” শীর্ষক বইয়ে জননেত্রী শেখ হাসিন কে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ৬ষ্ট স্থানে অধিষ্টিত করেছেন। জনননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু আমাদের না,শুধু বাংলাদেশের না সমগ্র বিশ্বের নেত্রী। জনননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের জন্য হাতে আলোক বর্তিকা হাতে নিয়ে আর্বিভাব হয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য আর্শিবাদ হয়ে এসেছেন। সকল মোহকে উপেক্ষা করে তিনি আজ এদশের কল্যানে দেশের মানুষের কল্যানে কাজ করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব সাফল্যে, সম্মান ও অর্জনের কথা উল্লেখ করে আরো বলেন–১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা নির্বাসন থেকে দেশে প্রত্যার্বন করেন। এই দিনটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে যেমন স্মরণীয়, তেমনি উজ্জ্বল। সে সময় বাংলাদেশ ছিল বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্রের দখলদারি ও জবরদস্তি শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট। সেই থেকেই জননেএীর সংগ্রাম শুরু। তিনি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরশাসকবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তিনি গৃহবন্দি হন।
যার পেক্ষিতে তিনি উল্লেখ করেন বাংলাদেশে আজ প্রবৃদ্ধির হার ৭.০২ শতাংশ যা পূর্বে বিএনপি জামায়ত জোটের সময় ছিলো ৫ শতাংশের সামান্য বেশি। সারা বিশ্ব যখন মন্দায় আক্রান্ত তখন এদেশের জিডিপির পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। মানুষ এখন তিনবেলা খেতে পাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির যে অগ্রগতি তাতে করে আগামী ৫০ বছরে বিশ্বের ৫০ টি উন্নত দেশের তালিকায় চলে আসবে। বর্তমানে শিক্ষার হার ৪৮ থেকে ৭২ শতাংশে উন্নিত হয়েছে। যা বিএনপি জামায়ত জোট সরকারের সময় লাজুক অবস্থায় ছিলো। তিনি বলেন, দেশে এখন বিদ্যুতের কোন সংকট নেই বিগত সরকারের সময় ৩২০০ মেগাওয়াটা বিদ্যুত আজ শেখ হাসিনা সরকারের সময় ১৫৯০০ মেগাওয়াটে উন্নিত হয়েছে এবং তা জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয়েছে। আমরা খুব শীগ্রই বিদ্যুত রপ্তানী করতে পারবো বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন বিগত জোট সরকারের সময় দেশে ১২৫০০ কমিউিনিটি ক্লিনিক বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। বর্তমান সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু করে ১৫৫০০ উন্নিত করে নতুন করে চালু করে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি করেছেন।
বিএনপি জামায়তের সময় বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে কালো তালিকাভুক্ত দেশ হিসেবে পরিচিত ছিলো যা বর্তমান সেই অপবাদ ঘুচিয়ে বিশ্বের কাছে রোল মডেলের একটি দেশ হিসেবে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন,বিগত সরকারের সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ বেকার থেকেছে। পড়াশোনা শেষ করে কোন চাকুরী পাইনি। সেই অবস্থার বর্তমানে পরিবর্তন হয়েছে। জনননেত্রী শেখ হাসিনা বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন বিশ্বনেতারা আজ শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনান উদাহরন টেনে অন্যদের এই মডেল ব্যবহারের আহ্বান জানাচ্ছেন। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রায় এক বছর কারান্তরীণ ছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব যেমন যোগ্যতার সঙ্গে দিয়ে চলেছেন তেমনি তিনবার জনগণের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রজ্ঞা ও যোগ্যতার সঙ্গে রাষ্ট্রের পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি এখনো তিনি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন। ১৯৯৬ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে উন্নয়ন–সংস্কারের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন। এই মেয়াদে তিনি কোয়ালিশন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্ত করতে শক্তভাবে হাল ধরেন।
বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী সিদ্ধান্ত গহনের কারনে। আরও বলেন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১৯৯৯ সালের ২০ অক্টোবর ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি এবং ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের স্বীকৃতিস্বরূপ এফএও কর্তৃক ‘সেরেস পদক’ লাভ করেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৮ সালে নরওয়ের রাজধানী অসলোয় মহাত্মা গান্ধী ফাউন্ডেশন শেখ হাসিনাকে ‘এম কে গান্ধী ’ পুরস্কারে ভূষিত করে। একই বছরের এপ্রিলে নিখিল ভারত শান্তি পরিষদ শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য ‘মাদার তেরেসা পদক’ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার জন্য ইউনেস্কো শেখ হাসিনাকে ‘ফেলিক্স হুফে বইনি’ শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে। ঐ বছরেই শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী এক আড়ম্বরপূর্ণ বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মানমূচক ‘দেশিকোত্তম’ উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৯৭ সালে লায়ন্স ক্লাবসমূহের আন্তর্জাতিক অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক ‘রাষ্ট্রপ্রধান পদক’ প্রদান করা হয় শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনার এই সব অর্জন বাঙালি জাতির অর্জন। এই অর্জন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার অর্জন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে উন্নয়ন ও ত্যাগের রাজনীতির মহীরুহ। তার প্রজ্ঞার আলোক ধারণ করেই প্রজন্মকে এগোতে হবে। শেখ হাসিনার সুসাস্থ্য ও দীঘ জীবন কামনা করি।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন ‘বিশ্বের অন্যতম একজন প্রভাবশালী রাষ্ট্রনায়কের মর্যাদা লাভ করার এ গৌরব প্রতিটি বাঙালির। জাতিরজনকের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিকল্প নেই’–বলেন ড. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।কল্যাণমূলক কর্মকান্ডের আন্তর্জাতিক এ স্বীকৃতির আমেজেই সামনের জাতীয় নির্বাচনে আবারো আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিপুল বিজয় দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন আর কল্যাণের এই ধারা অব্যাহত রাখতেই বারবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হবে। এজন্যে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ শুরু করতে হবে।’বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না, যারা বাংলাদেশের মানুষের সমৃদ্ধি পছন্দ করে না, তারা নানা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে, এ ব্যাপারে সকল প্রবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।’ অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা–দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখ–সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে প্রবাসে সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। দেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বৈদেশিক সম্পর্ক, ব্যবসা বাণিজ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হয়েছে। আর্থ–সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। ২০২১ সালের আগেই আমরা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করব।
সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সকলের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। শুধু তাই নয়, যুবলীগ, মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সর্বস্তরের নেতা–কর্মীরাও মুহুর্মূহু স্লোগানে পুরো মিলনায়তনকে মাতিয়ে রাখেন।
নিউজার্সী, কানেকটিকেট, আটলান্টা ও ওয়াশিংটন ডিসিসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের নেতা–কর্মীরাও এসেছিলেন এ সমাবেশে।
সভাপতি ও সম্পাদকমন্ডলীর সকলেই। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাও ছিলেন বিশাল মঞ্চে বাংলাদেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক অর্জন গ্রন্থের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ড. খন্দকার মনসুর, ডাঃ মাসুদুল হাসান, সহ–সভাপতি বসরাত আলী, মাহাবুবুর রহমান,আবুল কাশেম, সাছুদ্দিন আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক আইরিন পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, মহিউদ্দিন দেওয়ান, আব্দুল হাসীব মামুন, এবং চন্দন দত্ত, আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহ বখতিয়ার, দপ্তর সম্পাদক মো আলি সিদ্দিকি, প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন, বন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলা্ম, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান টুকু, শিক্ষা সম্পাদক এম এ করিম জাহাঙ্গীর, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফরিদ আলম , শ্রম সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, উপ–দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, উপ–প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি, কোষাধ্যক্ষ আবুল মনসুর খান, পারলিক রেলিশন সম্পাদক কাজী কয়েস , সাস্হ সম্পাদক ডাঃ আব্দুল বাতেন ও ইমিগ্রেশন সম্পাদক আব্দুর রহমান মামুন, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী এবং সেক্রেটারি ইমদাদ রহমান চৌধুরী, স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল,মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মমতাজ শাহনাজ।
মহা সমাবেশে আরও উপস্হীত ছিলেন প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.আব্দুস সোবহান গোলাপ, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক, ও বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সহকারীর স্ত্রী গুলশান আরা বেগম। নির্বাহী সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাহানারা রহমান, হিন্দাল কাদির বাপ্পা, শরাফ সরকার ,জহিরুল ইসলাম, মজিবুল মাওলা, হাজী নিজাম উদ্দিন,রেজাউল করিম চৌধুরী, খোরশেদ খন্দকার, আব্দুল হামীদ, শরীফ কামরুল হীরা, নুরুল আফসার সেন্টু, শামসুল আবেদিন, আলী হোসেন গজনবী, আমিনুল ইসলাম কলিন্স, আতাউল গনি আসাদ, হাসান মাসুক, এম আনোয়ার, কামাল উদ্দিন ও ইলিওর রহমা। নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের মোর্শেদা জামান, ছাদেক শিবলু,স্টেট আওয়ামী লীগের এ কে আলমগীর, মহিলা আওয়ামী লীগের ফরিদা ইয়াসমীন, রৌওশান আরা বেগম, সেলিনা আক্তার, রুমানা আকতার, নাঈমা খান, মিসেস বসরাত আলি, মীনা ইসলাম, লুতফা আকতার, রুমা আলম, নীলুমা বেগম , স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সর্দার, সাধারন সম্পাদক সুবল দেব নাথ ,দুরুদ মিয়া রনেল , কবির আলী, দিপু, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শিব্বীর আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহবায়ক তারেকুল হায়দার চৌধুরী, সিটি যুব লীগের জামল হোসেন,সেবুল মিয়া, রহিমুজ্জামন সুমুন,জাকির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সর্দার, ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জাহিদ , আমিনুল ইসলাম, হেলাল মিয়া, যুক্তরাষ্ট্র সাবেক ছাএ লীগের সভাপতি জেড এ জয় ও সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর এইচ মিয়া প্রমূখ প্রমুখ।প্রধান অতিথি বক্তব্যের পর সাংস্কিতিক অনুষ্টান মধ্যে দিযে সমাবেশের পরিসমাপ্তি হয।