শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগের বিনম্র শ্রদ্ধা
Related Articles
ঢাকা: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্য আজ বৃস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের স্মরণে নির্মিত বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।সকাল ৭ টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি শহীদ বেদীর সামনে কিছুক্ষণ নিরবে দাড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিউগলে করুন সুর বাজানো হয়। শহীদদের সম্মানে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সংঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপুমণি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একেএম এনামুল হক শামীম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়াসহ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।পরে একে একে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানায় কেন্দ্রীয় ১৪ দল, শহীদ পরিবারের সন্তান ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা।অন্যদিকে ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকেও বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো হয়।পরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ হলে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের বেদী উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এ সময় বিভিন্ন সংগঠন সারিবদ্ধভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
স্বাধীনতা লাভের আগ মুহুর্তে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের এ দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর আলবদর, আল শামস ও রাজাকাররা জাতিকে মেধাশূন্য করতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেন্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ নির্মম হত্যাকান্ডের মাত্র দু’দিন পর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পন করে এবং পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
Related
সর্বশেষ খবর
বাংলার ইতিহাস
তথ্য ও প্রযুক্তি
মতামত-বিশ্লেষণ
-
লুসি হেলেনের পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী (৭৮১ view)
-
পদ্মা সেতুর ৪র্থ স্প্যান স্থাপনের প্রস্তুতি শুরু (৫৫৫ view)
-
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১৩ হাজার নতুন ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করা হবে : ত্রাণমন্ত্রী (৪৭৮ view)
-
আওয়ামী লীগেই থাকুক আওয়ামী লীগ! (৩৭৫ view)
-
আগামী নির্বাচনে ইনশাল্লাহ আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে : প্রধানমন্ত্রী (৩১১ view)
![Ajax spinner](https://awamileaguetimes.com/wp-includes//images/wpspin-2x.gif)
![Banner](http://awamileaguetimes.com/wp-content/uploads/2022/06/06072022_IMG04_BANGLADESH_IMPORTANT_NUMBERS-scaled.jpg)