পদ্মাসেতুতে যান চলাচল শুরু ২০১৯ সালের জুনে : অর্থমন্ত্রী

Awamileague Times
By Awamileague Times ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৮ ১৯:৪২

পদ্মাসেতুতে যান চলাচল শুরু ২০১৯ সালের জুনে : অর্থমন্ত্রী

২০১৯ সালের জুন মাস থেকে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তবে সেই সঙ্গে তিনি একথাও বলেন, এর আগে মার্চ মাস থেকেই যান চলাচল শুরু হতে পারে।সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী দশ প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন বক্তব্য রাখেন।অর্থমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমার ধারণা আগামী মার্চ মাসেই পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে, তবে মার্চ মাসের ব্যাপারে আমরা বেশি আশাবাদী হচ্ছি। ডেফিনেটলি জুন মাসে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হবে।আমাদের ওবায়দুল কাদের সাহেব চেয়েছিলেন ডিসেম্বরের মধ্যে। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না। কারণ এখনো সব স্প্যান বসেনি।

পদ্মা সেতুতে ঋণ বাতিল করায় বিশ্বব্যাংকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিকের সমালোচনা করে মুহিত বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কোনো অনুমোদন ছাড়াই পদ্মাসেতুতে ঋণ বাতিল করা হয়। আমরা সেই সময় বিশ্বব্যাংকের সাথে সমঝোতা করার অনেক চেষ্টা করেছি। কারণ বিশ্বব্যাংক আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগি। তবে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অসম্মান করায় আমরা পরে তাদের ঋণ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিই এবং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন হচ্ছে।

তিনি জানান, বৈদেশিক সাহায্য আগে আমরা জাতীয় আয়ের ৯-১০ শতাংশ পেলেও বর্তমানে ১ দশমিক ৩ থেকে ১ দশমিক ৪ শতাংশ পাই। এখনো যথেষ্ট বৈদেশিক সহায়তা পেয়ে থাকি। মুহিত বলেন, এক সময় কথায় ছিল যে কর দিও না। একবার যদি করজালে পড় তাহলে সারাজীবন হয়রানি ভোগ করতে হবে। এখন এ ধারণা কারোর মধ্যে নেই। কর কর্মকর্তারা করদাতাদের সম্মান এবং সাহায্য করেন। তবে এত কিছু করার পরও আমাদের রাজস্ব আহরণ অনেক কম বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বাজেটের আকার বাড়লেও জাতীয় আয়ের অনুপাত হিসেবে আমরা যে কর দেই, সেটা এখনো সারাবিশ্বের ন্যুনতম পর্যায়ে আছে। আমরা ১০ থেকে ১১ শতাংশ কর দেই। খুব কম দেশে এই হার ১৪ থেকে ১৫ শতাংশের নিচে আছে।সেখানে আমাদের কিছু উদ্যোগ নিতে হবে এবং আমরা নিচ্ছি। আয়করে করদাতাদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে।তিনবছর আগে ১৪ লাখ ছিল।এখন ৩৩ লাখ। এটা সুসংবাদ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কয়েক বছর ধরে যারা বেশি কর দেন, তাদেরকে স্বীকৃতি প্রদান করছে।এতে তারা সমাজে একটু সম্মান পান এবং তাদের দেখে অন্যরা উদ্বুদ্ধ হন বলে তিনি মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে ২০১৭ সালের ঢাকা সিটি করপোরেশনের সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারী এবং ঢাকা জেলার কর বাহাদুর পরিবারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হওয়ায় সম্মাননা সনদ এবং ক্রেস্ট তুলে দেন অর্থমন্ত্রী।

সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারী এবং কর বাহাদুর পরিবারের স্বীকৃতি লাভ করায় এনবিআরকে ধন্যবাদ জানান সৈয়দ আবুল হোসেন। তিনি বলেন, যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত। যে জাতি যত বেশি কর প্রদান করেন, সে জাতি তত বেশি সভ্য। সেই জাতি তত বেশি দেশের সেবা করে থাকে। কর যারা দেয় তারা স্বচ্ছ থাকে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ কর দেয়ার মাধ্যমে আমি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রমাণ রেখেছি।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, কর বাহাদুরের পরিবর্তে যদি কর রত্ন বা কর সেবক স্বীকৃতি দেয়া যায়, তাহলে খুবই ভালো হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী দশ প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ভ্যাট করায় ভ্যাট সম্মাননা সনদ ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।

Awamileague Times
By Awamileague Times ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৮ ১৯:৪২
01212016_11_ALBD_CONSTITUTION

  • Sorry. No data yet.
Ajax spinner