মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে দেশবাসীর সহযোগিতা চাওয়া হবে : ওবায়দুল কাদের

Awamileague Times
By Awamileague Times মার্চ ৬, ২০১৮ ১৯:৪৪

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে দেশবাসীর সহযোগিতা চাওয়া হবে : ওবায়দুল কাদের

ঢাকা : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগের ৭ মার্চের জনসভায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে দেশের মানুষের সহযোগিতা চাওয়া হবে।তিনি বলেন, ‘একাত্তরের পরাজিত সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনো নির্মূল হয়নি। এ অশুভ শক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করছে’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের পথে বাধা দূর করতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে তা উৎপাটন করার জন্য দেশের মানুষের কাছে সহযোগিতা চাইবেন।ওবায়দুল কাদের আজ বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের আগামীকালের জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একেএম এনামুল হক শামীম, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী বিজয়ের মাসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি যাতে বিজয়ী হয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থার রাখার জন্যও তিনি জনগনের প্রতি আহবান জানাবেন।আওয়ামী লীগের আগামীকালের জনসভায় জনগনকে কি বার্তা দেওয়া হবে বলে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ বছরের ৭ মার্চের তাৎপর্য হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে দেশের তৃণমূলে ছড়িয়ে দেওয়া।

তিনি বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৭ মার্চের নতুন তাৎপর্য নিয়ে ভাষণ দেবেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তৃণমূলে পৌঁছে দেওয়ার জন্যও স্বাধীনতা প্রিয় মানুষের প্রতি আহবান জানাবেন তিনি।’সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে অনেক বিখ্যাত ভাষণ রয়েছে। এ ভাষণগুলো ছিল লিখিত। কিন্তু একমাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাষণই ছিল অলিখিত ও তাৎক্ষণিক ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেয়েছি। আর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির ৭ মার্চের ভাষণের সঙ্গে সংগতি রেখে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দান করছেন।

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আগে শুধু বাঙালি জাতির সম্পদ ছিল। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এ ভাষণ জাতিসংঘের ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার পর তা সারা বিশ্বের সম্পদে পরিনিত হয়েছে।অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার পর এ বছর জনগণের মধ্যে যে প্রবল আগ্রহের ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে তাতে আগামীকালের জনসভা জনসমুদ্রে পরিনিত হবে বলে আমরা আশা করছি।

Awamileague Times
By Awamileague Times মার্চ ৬, ২০১৮ ১৯:৪৪
01212016_11_ALBD_CONSTITUTION

  • Sorry. No data yet.
Ajax spinner