যুক্তরাষ্ট্র আঃ লীগের ঐতিহাসিক ১০ই জানুয়ারি পালিত- বঙ্গবন্ধুর জন্য সবুজ পাসর্পোট নিয়ে আমিরেকায আসতে পেরেছি ডঃ সিদ্দিক

Awamileague Times
By Awamileague Times জানুয়ারি ১২, ২০১৭ ০৫:১০

যুক্তরাষ্ট্র আঃ লীগের ঐতিহাসিক ১০ই জানুয়ারি পালিত- বঙ্গবন্ধুর জন্য সবুজ পাসর্পোট নিয়ে আমিরেকায আসতে পেরেছি ডঃ সিদ্দিক

নিউ ইর্য়ক থেকেঃ

ঐতিহাসিক ১০ই জানুয়ারি পাকিস্তানে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিন দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দীর্ঘ ১০ মাস পাকিস্তানে কারাবাস শেষে ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন কোটি জনতার প্রিয় এই নেতা। লাখো বাঙালি উৎসবের আনন্দে এদিন প্রিয় নেতাকে বরণ করে নেন। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য গভীর রাতে হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। ‘অপারেশন সার্চলাইট’এর নামে ওই রাতেই তারা নিরীহনিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বর হামলা চালায়। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে স্বাধীনতার দাবি থেকে সরে আসতে বলা হয়। তা না হলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু বাঙালির অধিকার ছাড়া তিনি কোন কিছু মানবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দেন। গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানি বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের নির্জনঅন্ধকার কারাগারে শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর বিচার। এতে তার ফাঁসির আদেশ হয়। কারাগারের যে সেলে বঙ্গবন্ধুকে রাখা হয়েছিল, সেই সেলের পাশে কবরও খোঁড়া হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবি ও প্রহসনের বিচার বন্ধ করতে প্রবল বিশ্ব জনমতের চাপের মুখে স্বৈরাচার পাকিস্তানি সরকার ফাঁসির আদেশ কার্যকর করতে সাহস পায়নি। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ, বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১এর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ হানাদারমুক্ত হয়। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক চাপে পাকিস্তান সরকার সদ্য ভূমিষ্ঠ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ১০ই জানুয়ারি বিজয়ীর বেশে বিশেষ বিমানে বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। এ সময় অস্থায়ী সরকার, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাসহ লাখো মানুষ বিমানবন্দরে পুষ্পবৃষ্টিতে বরণ করে নেন প্রিয় এই নেতাকে। বঙ্গবন্ধুও তার প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসা আর শ্রদ্ধায় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি নিজেই তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে।

গতকাল ১০ই জানুয়ারি, মঙ্গলবার ২০১৭ই সন্ধ্যা ৮টায় জ্যাকসন হাইটসের মেজবান রেষ্টুরেন্টে স্বাদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ড. সিদ্দিকুর রহমানের মায়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা কাজী কাইয়ুম। সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফুল করিম। প্রধান অতিথি ছিলেন সদ্য বাংলাদেশ থেকে আগত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং সভা পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জনাব আব্দুস সামাদ আজাদ। সিদ্দিকুর রহমান তিনি গতকাল ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে ফিরে আসেন সকাল ৮ টায় জেএফকে বিমান বন্দরে অবতরন করেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকরমীরা তাকে স্বাগত জানায়। স্বদেশ প্রত্যাবতর্ন দিবসের আলোচনার সভার শুরুতে ড. সিদ্দিকুর রহমান মায়ের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, পরে মুল আলোচনা শুরু হয়। প্রথমে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নিরবতা পালনের মধ্যে দিয়ে আলোচনা সভা শুরু করেন। আলোচনায় সভার শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি তার মায়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন| তিনি আরও বলেন দীর্ঘ নয় মাসরক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ, বহু ত্যাগ ও রক্তের  বিনিময়ে ১৯৭১এর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ হানাদার মুক্ত হয়। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক চাপে পাকিস্তান সরকার সদ্য ভূমিষ্ঠ স্বাধীন বাংলাদেশের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

ইতিহাসের মহানায়ক লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ১০ই জানুয়ারি বিজয়ীর বেশে বিশেষ বিমানে বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন।  বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান অবিস্মরণীয়। শত জেলজুলুম নির্যাতন এমনকি ফাঁসির মঞ্চকে উপেক্ষা করে তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন।  তিনি আরও বলেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের নির্জনঅন্ধকার কারাগারে শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর বিচার। এতে তার ফাঁসির আদেশ হয়। কারাগারের যে সেলে বঙ্গবন্ধুকে রাখা হয়েছিল,সেই সেলের পাশে কবরও খোঁড়া হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবি ও প্রহসনের বিচার বন্ধ করতে প্রবল বিশ্ব জনমতের চাপের মুখে স্বৈরাচার পাকিস্তানি সরকার ফাঁসির আদেশ কার্যকর করতে সাহস পায়নি। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ, বহু ত্যাগ ও রক্তের  বিনিময়ে ১৯৭১এর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ হানাদারমুক্ত হয়।  আরও বলেন জাতির জনকের জন্য আজ আমরা সবুজ পাসর্পোট নিয়ে আমিরেকায আসতে পেরেছি। তিনি আরো বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও জননেত্রীর ডিজিটাল এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসাবে গডতে হলে সবাই কে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি নেতাকমীদের ঊদ্দেশে বলেন য়ুক্তরাস্ট্র আওয়ামী লীগ একটি বিশাল পরিবার এখানে ভুল বুঝাবুঝি হতেই পারে এটাই সাভাবিক ঘটনা। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আজ আপনারাও নিজেদের ঘরে প্রত্যাবর্তন করেছেন, এখন থেকে আমরা সব কিঁছু ভুলে একসাথে দলের জন্য কাজ করবো। সভাপতির বক্তব্যের পরে আলোচনা শেষ করেন আর কোন বক্তা ছিল না। দল থেকে দীঘদিন যারা বাহিরে ছিল তারা সবাই আলোচনা সভায উপস্হিত ছিলেন। 

নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ বশারত আলী, মাহাবুবুর রহমান,আবুল কাশেম, শামসুদ্দিন আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, আব্দুল হাসীব মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, আব্দুর রহিম বাদশা, এান সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, মহিলা সম্পাদক শিরিন আক্তার দিবা, মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, কৃষি বিষক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ মনসুর খান, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, উপদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, উপপ্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি, মানবাধিকার সম্পাদক মেজবাহ্ আহম্মেদ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ আলম, সদস্য শামসুল আবেদিন, শরীফ কামরুল আলম হিরা, খোরশেদ খন্দকার, আব্দুল হামিদ, রেজাউল করিম চৌধুরী, আলি হোসেন গজনবী, আশাফ মাসুক। নিউ ইয়র্ক ষ্টেটের সাধারন সম্পাদক শাহীন আজমল, সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, সিটি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী, জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি কাজী আজিজুল হক, খোকন ও সাধারন সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নূরুজ্জামান সর্রদার ও সাধারন সম্পাদক সুবল দেবনাথ, সহ সভাপতি মোঃ আশরাফ উদ্দিন, দূরুদ মিযা রনেল, কবির আলী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত বিশ্বাস, আনিসুজ্জামান সবুজ। যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগ শাহনেওয়াজ মমতাজ, যুব লীগ, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর এইচ মিয়া, শেখ হাসিনা মঞ্চের কায়কোবাদ খান, জ্যাকসান হাইটস বিজনেস এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারন সম্পাদক আবুল ফজল মোঃ দিদার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, তোফায়েল আহমেদ, বদরুল খান ও নেতৃবৃন্দ।

 

Awamileague Times
By Awamileague Times জানুয়ারি ১২, ২০১৭ ০৫:১০

  • Sorry. No data yet.
Ajax spinner