গ্রেনেড হামলা: রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের
Related Articles
বাংলা অক্ষর নিউ ইর্য়ক থেকেঃ
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ঘোষিত রায়ে প্রবাসী নেতা-কর্মীরা উল্লাসে মেতে উঠেছে।যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের ফাঁসি হলে এই রায়ের যথার্থতা থাকতো।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সকল দেশের নেতাকর্মীদের অপশক্তির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে নির্দেশ প্রদান করেন। এর আগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণার পরপর জ্যাকসন হাইটসে তিতাস রেস্টুরেন্টের সামনে আনন্দ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মিষ্টি খাইয়ে আনন্দ-উল্লাস করে। মামলার রায় ঘোষণার পর মধ্যো রাত আড়াইটার দিকে তিতাস রেষ্টুরেন্টে আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকু রহমানের নেতৃত্বে সভা করেছে নেতা-কর্মীরা।
ড.সিদ্দিকুর রহমান বলেন সুপরীম কোর্টের রায়ে আমাদের কিছুই বলার নেই তবে বর্বরোচিত ও নৃশংস গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হওয়া উচিত ছিল।’২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২১ আগষ্ট গ্রনেডে হামলার রায় প্রতিহিংসার রায় নয় বরং সত্যের জয় হয়েছে। একদিকে যেমন বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, রাজাকার আলবদরদের বিচার হচ্ছে, জেল হত্যার বিচার হয়েছে, ঠিক একই ভাবে আজ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারের রায় হয়েছে।
ড.সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন কিন্তু রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “এই রায়ে আমি খুশি না। তারেক-হারিছসহ যাদের যাবজ্জীবন হয়েছে, তাদের ফাঁসি না হলে কোনোভাবেই সন্তুষ্ট হতে পারব না।” “ আমরা এ রায়ে কিছুটা সন্তুষ্ট। কিন্তু এ রায়ে তারেক রহমানসহ অন্য যাদের যাবজ্জীবন হয়েছে, তাদেরও ফাঁসি হওয়া উচিৎ ছিল।
ড.সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন “মামলায় খালেদা জিয়াকে আসামি করা দরকার ছিল। এ হামলার সাথে খালেদা জিয়াও জড়িত।”তিনি আরও বলেন, ২১ আগস্টের মতো যত হামলা হয়েছে তার শিকার একমাত্র আমরা, আমাদের দল, আমাদের বঙ্গবন্ধু, আমাদের বঙ্গবন্ধুর কণ্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওরা (বিএনপি-জামায়াত) কিন্তু কখনো এমন হামলার শিকার হননি। কারণ আমরা তো ওই রাজনীতি করি না।
আরও বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর পর এই নৃশংস গ্রেনেড হামলার বিচার হলো যার প্রাইম টার্গেট ছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তাকে টার্গেট করেই এই হামলা চালানো হয়েছিল। এই হামলার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান। হাওয়া ভবন থেকে এই হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, সহ- সভাপতি সামছুদ্দিন আজাদ, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আইরিন পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ, আব্দুল হাসিব মামুন, মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, উপ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, উপ-প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি, কোষাধক্ষ্য আবুল মনসুর খান, শাহানারা রহমান, গজ নবী, মহনগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইমদাদুর রহমান চৌধুরী, ষ্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম, আবুল কাশেম ভূইয়া, যুবলীগের আহবায়ক তরিকুল হায়দার চৌধুরী, খন্দকার বাহার চৌধুরী সবুজ, হুমায়ন চৌধুরী, বাবুল আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা বাবু, নান্টু মিয়া, মোঃ হারুন অর রশীদ, লুতফুর রহমান হীমু প্রমুখ।
বক্তব্যরা বলেন রাষ্ট্রপক্ষ এদের সবারই সর্বোচ্চ শাস্তি, অর্থাৎ ফাঁসির দাবি করেছিল। আর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণেরও দাবি করেন আইনজীবীরা। বলেন, “দীর্ঘদিন পর এ রায় হলেও এতে আমরা খুশি না, কারণ জঘন্য এ হামলার মূল হোতা তারেক রহমান, কিন্তু তাকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। তার অপরাধ হল ফাঁসি দেওয়ার মত।”উচ্চ আদালতের কাছে তারেকের ফাঁসি কামনা করে তারা বলেন, “এতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগসহ অন্যান্য অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।