সবাই শেখ হাসিনার সাথে থাকুন এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সঙ্গে থাকুন!

Awamileague Times
By Awamileague Times জুলাই ১৬, ২০২২ ১৩:৫৯

সবাই শেখ হাসিনার সাথে থাকুন এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সঙ্গে থাকুন!

শিব্বীর আহমেদ: ২০০৭ সালের ১৫ জুলাই। আমি তখন ওয়াশিংটনে। বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ইনক (বাংলাস্কুল-বিসিসিডিআই) এর সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। ১৫ জুলাই বিসিসিডিআই বাংলাস্কুলের বার্ষিক বনভোজন। মাস তিনেক আগে এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটনে অবস্থান করছিলেন। ২০০৭ সালের ১৪ এপ্রিল শনিবার জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় বাংলাস্কুলের বর্ষবরণ উৎসবে অংশগ্রহন করেছিলেন। বাংলাস্কুলের তৎকালীন সভাপতি ইনাম হক এবং সাধারন সম্পাদক হিসাবে আমি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাস্কুলের বর্ষবরণ উৎসবে অংশগ্রহন করার জন্য আমন্ত্রন জানাই। এই আমন্ত্রনে সমন্বয় করেন ড. হেমায়েত উল্ল্যাহ পলাশ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক খালিদ হাসানের সহধর্মিণী জাহানার হাসান।

শেখ হাসিনার চিঠি

হালকা বৃষ্টির মধ্য দিয়েও আজকের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বাংলাস্কুলের বর্ষবরণ উৎসবে উপস্থিত থাকেন এবং শিশুদের সাথে সময় কাটান ছবি তোলেন। কিন্তু বাংলাস্কুলের আজকের বনভোজনের দিকে দৃষ্টি নেই তেমন কারোই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে চারিদিকে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিসিসিডিআই বাংলাস্কুলের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে থেকেও সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করা যাচ্ছিলনা। যুক্তরাষ্ট্র সহ দেশ থেকে একের পর এক ফোনকল আসছে। সবাই অস্থির হয়ে আছে পরিস্থিতি জানবার জন্য।

১৫ জুলাই রোববার দিনভর ওয়াশিংটন সহ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলোর নেতৃন্দের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে সারাদিন দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ফোনে একে অপরের সাথে যোগাযোগ চলছে। সবাই নেত্রীর সংবাদের জন্য অস্থির হয়ে আছে। উৎকন্ঠা আর শংকা সবার ভিতরে। অধ্যাপক খালিদ হাসান, ড. খন্দকার মনসুর, শামীম চৌধুরী, জি আই রাসেল, সাদেক খান, শেখ সেলিম, মাহমুদুন নবী বাকী, রফিক পারভেজ, নুরুল আমীন নুরু, আলাউদ্দীন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা হারুন চৌধুরী, শেরিনা চৌধুরী, আবুল শীকদার সহ অন্যান্যদের নিয়ে দফায় দফায় অধ্যাপক খালিদ হাসানের বাসভবন সহ বিভিন্ন জায়গায় বৈঠকের পর বৈঠক। সবার ভিতরেই শংকা আর উত্তেজনা। আলোচনার বিষয়বস্তু যেকোন সময় জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হতে পারেন। যদি সত্যিকার অর্থেই সেনা সমর্থীত তত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করেন তাহলে করনীয় নিয়ে সবার ভিতরেই চলছে আলোচনা। ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, সাংবাদিক লাভলু আনসার, দেশ ও প্রবাসের গণমাধ্যম কর্মী সহ সবাই তথ্যের সন্ধানে। কেউ খোঁজ দিচ্ছেন কেউবা খোঁজ নিচ্ছেন।

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই এক ঐতিহাসিক কালো দিবস। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে এদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে কারাবন্দী করা হয়। ২০০৬ সালের উত্তাল রাজনীতির পর ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে ফখরুদ্দীন-মঈনউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সেনা সমর্থীত ১/১১-এর তত্ববাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। তত্ববাবধায়ক সরকার গঠিত হবার পর বিভিন্ন মিথ্যা-বানোয়াট, হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৬ জুলাই ধানমন্ডির বাসভবন সুধা সদন থেকে গ্রেফতার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে প্রায় ১১ মাস রাখা হয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ কারাগারে।

বিসিসিডিআই – বাংলা স্কুলের বর্ষবরণ উৎসবে শেখ হাসিনা এবং সজীব ওয়াজেদ জয়।

১৬ জুলাই ভোরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় দুই সহস্্রাধিক সদস্য সম্পূর্ণ বে-আইনীভাবে শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ বাসভবন সুধা সদন ঘেরাও করে। সেই সময় শেখ হাসিনা ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা শেখ হাসিনাকে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সুধা সদন থেকে বের করে নিয়ে আসে এবং যৌথবাহিনীর সদস্যরা বন্দি অবস্থায় তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে। তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জামিন আবেদন আইন বহির্ভূতভাবে না মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।

সেদিন শেখ হাসিনা আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩৬ মিনিটের বক্তৃতার মাধ্যমে তৎকালীন অবৈধ সরকারের হীন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। গ্রেফতারের পূর্ব মুহূর্তে দেশবাসীর উদ্দেশে নিজ হাতে আবেগঘন একটি খোলা চিঠিও লেখেন তিনি।

খোলা চিঠিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমাকে সরকার গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। কোথায় জানি না। আমি আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যেই সারাজীবন সংগ্রাম করেছি। জীবনে কোনও অন্যায় করিনি। তারপরও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ও আপনারা দেশবাসীর ওপর আমার ভরসা।

ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলন ।

আবেগঘন এই চিঠিতে তিনি আরো লিখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে আবেদন কখনও মনোবল হারাবেন না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। যে যেভাবে আছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। মাথা নত করবেন না। সত্যের জয় হবেই। আমি আছি আপনাদের সঙ্গে, আমৃত্যু থাকবো। আমার ভাগ্যে যা-ই ঘটুক না কেন আপনারা বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যান। জয় জনগণের হবেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বই। দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফোটাবই।

শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে বাংলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে অবরুদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালায় তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকার। শেখ হাসিনার গ্রেফতারের খবর দ্রুত ওয়াশিংটন সহ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে সাথে সাথেই। তখন ওয়াশিংটনে ১৫ জুলাই রোববার সন্ধ্যা। সারাদিন বাংলাস্কুলের বনভোজন সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠকের পর সন্ধ্যায় আমি ওয়াশিংটনের সাংস্কৃতিক সংগঠন একতারা’র কর্ণধার শেখ মাওলা মিলনের বাসায় বসে আছি। ওখানে বসেই জননেত্রী শেখ হাসিনার খবর পেলাম। দলীয় নেত্রীর গ্রেফতারের খবরের সাথে সাথে আবারো ফোন সচল হয়ে উঠল। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বৈঠকে বসছে। যেতে হবে। বিদায় নিয়ে শেখ মিলনের বাসা থেকে বের হয়ে বৈঠকে হাজির হলাম।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হল, ১৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের সকল কমিটির মধ্যে সমন্বয় করে প্রস্তুতি, ১৭ জুলাই ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে জননত্রেী শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান করা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সভা সমাবেশ বিক্ষোভ সহ যুক্তরাষ্ট্র প্রাশাসনে লবী করা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে পড়ে। ১৬ জুলাই পুরো যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ ও তথ্য আদান সহ প্রস্তুতি চলে। পরেরদিন দুপুরো ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে আওয়ামী লীগ সহ সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ শেষে দূতাবাসে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক খালিদ হাসান, শামীম চৌধুরী, ড. খন্দকার মনসুর, মাহমুদুন নবী বাকী, শেখ সেলিম, সাদেক খান, করিম বাচ্চু, আমর ইসলাম, হারুন চৌধুরী, শেরিনা চৌধুরী, নুরুল আমীন নুরু সহ মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। বিক্ষোভের পরপরই বাসায় ফিরে আসি এবং বিক্ষোভের সংবাদ, ছবি ও ভিডিও দেশে ও প্রবাসের সকল গণমাধ্যমে পাঠিয়ে দেই।

১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গ্রেফতার হওয়ার আগে দলটির প্রবীণ নেতা তৎকালীন সভাপতিন্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে যান। শেখ হাসিনার অবর্তমানে শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখেন জিল্লুর রহমান ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। নেতাদের মধ্যে দেখা দেওয়া দ্বিধাবিভক্তিও দূর করেন তারা দুজন। পাশাপাশি শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলন চালিয়ে যান আপসহীনভাবে। কারাবন্দি আওয়ামী লীগ সভাপতির মুক্তির দাবিতে সারা দেশে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু করে আওয়ামী লীগ। প্রায় ১ কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহ করে শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলন তরান্বিত করা হয় এবং সেনা সমর্থিত সরকারের ভিত নড়বড়ে করে তোলে ওই কর্মসূচি।

ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলন ।

এদিকে কারাগারে শেখ হাসিনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে। একপর্যায়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালের ১১ জুন আট সপ্তাহের জন্য জামিন দেওয়া হয় শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের।

মুক্ত শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় বসেন তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি। চিকিৎসা শেষে ওই বছরের ৬ নভেম্বর দেশে

শিব্বীর আহমেদ

ফিরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। আওয়ামী লীগের আন্দোলন তখন আরও গতি পায়। অবশেষে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বাধীন সেনা সমর্থিত সরকার।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগসহ মহাজোট সরকার গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের। আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হারানো স্বপ্ন ও সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হচ্ছে তাঁরই সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে।

এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় পিতার ন্যায় আপোসহীন মনোভাব নিয়েই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার যাত্রা শুরু হয়। জনগণের মুক্তি আন্দোলনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সহ্য করতে  হয়েছে অনেক জেল-জুলুম ও অত্যাচার-নির্যাতন। অসংখ্যবার মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়েছে। জনগণের অশ্রুসিক্ত ভালবাসায় সকল ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে টানা তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে অকুতোভয়, নির্ভীক সেনানীর মতো নিরবচ্ছিন্নভাবে পথ চলছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। সকল বাধা-বিপত্তি জয় করে আজ শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্ব দরবারেও স্বমহিমায় উজ্জ্বল জনগণের প্রাণপ্রিয় নেত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতার উন্নয়নের দর্শন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে বিশ্বের বুকে সন্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যেতে নিরলস কাজ করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ সকল বাঙালির হৃদয়ে দেশপ্রেমের বহ্নিশিখা প্রজ্বলিত করে সংকট জয়ের ঐক্যবদ্ধ সুরক্ষাব্যুহ সৃষ্টি করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারকে সহযোগিতা করার দায়িত্ব ও কর্তব্য আমাদের সকলের। সবাই শেখ হাসিনার সাথে থাকুন এবং বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রার সঙ্গে থাকুন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যে দেশ গড়ে উঠবে, তাতে নিকট অতীতগুলোকে হয়তো রূপকথা মনে হবে।

-শিব্বীর আহমেদ
লেখক / সাংবাদিক, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র

Awamileague Times
By Awamileague Times জুলাই ১৬, ২০২২ ১৩:৫৯

  • Sorry. No data yet.
Ajax spinner